মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখব কিভাবে


বর্তমান সময়ে প্রায় সকল মানুষই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে অনেকে স্মার্টফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন অনেকেই জানেন না কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করা যায়। আজকে আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন।

আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পারবেন।  মোবাইল দিয়ে  ফ্রিল্যান্সিং শিকার কয়েকটি কার্যকারী উপায়। এবং মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব।

পেজ  সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব

ফ্রিল্যান্সিং কি

    ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি মুক্ত পেশা। সাধারণত চাকরি আর ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যকার প্রধান পার্থক্য হল ডিউটি করার সময়। অর্থাৎ যে কোন চাকরিতে গেলে দেখা যায় যে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ডিউটি করতে হয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের কোন টাইম লিমিটেড থাকে না।সেখানে নিজের ইচ্ছামত সময়ে কাজ করার স্বাধীনতা থাকে।

    ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি আরও সহজ করে বর্ণনা করতে গেলে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার একটি মাধ্যম।এখন বেশিরভাগ সময় অনলাইনে যে যে কাজগুলো পাওয়া যায় সেগুলো করে অনেক অর্থ উপার্জন করা যায়, তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এবং কোন নির্দিষ্ট বা কোম্পানির প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ না করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করাকে ফ্রীল্যান্সিং বা অনলাইনে আয় করা বলে।

    ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়টি বা ধারণাটি আগে থেকেই সমাজে অনেক প্রচলিত আছে। প্রযুক্তির এই অভাবনীয় বিকাশের মাধ্যমে এই শব্দটি একটি আলাদা আত্মমর্যাদা পেয়ে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং কি সে সম্পর্কে আমাদের সবার মনে অনেক কৌতূহল রয়ে আছে কারণ মেইন স্ট্রিম মিডিয়া গুলো প্রতিনিয়ত অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে নিউজ কভার করছে।

    এতে সমাজের একটি পজেটিভ পরিবেশ বিরাজ করছে। চুক্তিভিত্তিক কাজ করার কারণে সবাই এই পেশায় নিজের ঘরে বসে ভালোভাবে কাজের দক্ষ হতে পারে। অনলাইন কাজের উপর নিজের দক্ষতা অর্জন করে তা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে  ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়।সব কথা  ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি অনেক মানুষজন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।এবং নিজের অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে নতুন অনেক কিছু শিখতে পারা যায়।

    মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব

    অনেকে বলছেন মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব আসলে কি এটা সত্যিই সম্ভব মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়।শুধু নিজের কঠোর পরিশ্রম আর অনেক ধৈর্য ধারণ করতে হবে। যেকোনো কাজে বা শিখার ক্ষেত্রে সফলতা খুঁজে পেতে নিজেকে অনেক সময় বা কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

    ইনশাল্লাহ একটা সময় দেখবেন কাজের সফলতা আপনার কাছে এসে ধরা দিবে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর শেখার কিছু কৌশল হয়েছে। যে কৌশল গুলো জানতে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। 


    সেটার মধ্যে প্রথম হচ্ছে কোথায় ফ্রিল্যান্সিং শিখা যায়। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন কোন সাইট গুলো ব্যবহার করব। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোর মধ্যে কোন কাজ করলে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। এই তিনটি বিষয়ে আপনারা জানতে পারলে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব। তাহলে আপনারা কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন তাহলে সেটা জেনে নিন। 

    আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। যেমন।

    ১।ইউটিউবে ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং  শেখা

    আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইউটিউবে ভিডিও দেখে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। বর্তমানে ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনেক ভিডিও পাওয়া যায়  আমি সেগুলো দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।

    ২।মোবাইল দিয়ে ব্লক সাইট থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন

     ব্লক সাইট থেকে ফ্রান্সিং শেখার জন্য। প্রথমে আপনার মোবাইল ফোনের যেকোন একটি ব্রাউজারে জান। এবং গুগলে এ সার্চ করুন আপনি কোন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান। আর সেখান থেকে বিভিন্ন ব্লগ পরে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।

    ৩।মোবাইল দিয়ে কোর্স করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা

    কোর্স  করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য,আপনাকে সর্বপ্রথম যে কোন একটা ভালো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এবং আপনি কোন বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন। বা কোন বিষয়ের উপরে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহী। সে বিষয়ের উপর কোর্স করতে হবে। 

    তবে হ্যাঁ প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। আপনি যদি ভুল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সেক্ষেত্রে আপনার টাকা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাটা অনেক বেশি।

    আর একটা বিষয় মাথায় রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনেক ধৈর্যশীল হতে হবে। অনেক আগ্রহের সাথে মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখে সফল হতে পারবেন।

    ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ পাওয়ার উপায় 

    আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চাই। তবে আমরা অনেকেই জানিনা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কিভাবে কাজ পাব। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ পেতে হলে অবশ্য আপনাকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। একটা জিনিস সবসময় মনে রাখতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।তাদেরকে বাদ দিয়ে ক্লায়েন্ট কেন আপনাকে কাজটি দিবে।তার জন্য আপনাকে অবশ্যই খুব ভালো মানের যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    এবং ক্লায়েন্ট যে কাজটি দিবে তা অবশ্যই খুব ভালোভাবে দক্ষতার সঙ্গে করে দিতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় একটা জিনিস মাথায় রাখবেন। আপনার ক্লায়েন্টের সাথে অবশ্যই খুব ভালো সম্পর্ক থাকতে হবে। যাতে করে ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি খুব সন্তুষ্ট থাকে। তাহলে খুব দ্রুত আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হতে পারবেন। 
    যে ভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাছে পেতে পারেন।সেগুলো হলো।

    কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করা। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে কাজ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কমিউনিকেশন করতে  হবে। তা না হলে দেখা যাবে আপনি ক্লায়েন্টস পেয়েও পরবর্তীতে সেটা হারাবেন।

    ভালোভাবে প্রোফাইল তৈরি করা। মার্কেট প্লেসে কাজ করা পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আপনার প্রোফাইল সুন্দরভাবে তৈরি করে নিতে হবে। যাতে করে আপনার প্রোফাইল নির্ভুল এবং সঠিক হয়। কোথায় তৈরি খেতে কখনোই অন্যের প্রোফাইল থেকে কপি করা যাবে না। তাহলে আপনার একাউন্ট কি ব্যান হয়ে যেতে পারে। 
     

    কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত,জেনে কাজ শুরু করা। মার্কেটপ্লেস এ কাজ শুরু করার পূর্বে অবশ্যই আপনার ক্লাইন্ট যে কাজটি দিবে, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপরে কাজ করতে শুরু করুন।আপনি যে কাজটি করবেন সেই সম্পর্কে না জানা থাকলে কাজ করতে ভুল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরে দেখা যেতে পারে আপনি পরবর্তীতে  আর ক্লায়েন্ট নাও পেতে পারেন।

    মার্কেটপ্লেস এর নিয়ম কানুন মেনে চলা। মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পূর্বে,অবশ্যই আপনাকে তার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। এক একটি মার্কেট প্লেস এর এক একটি নিয়ম থাকতে পারে। সে সমস্ত নিয়মকানুন না মানলে আপনার পরবর্তীতে প্রবলেম হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় আপনার একাউন্টটি ব্যান হয়েছে যেতে পারে। তাই মার্কেটপ্লেস এর নিয়ম কানুন জেনে রাখা উভয় জরুরী।


    ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করা। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর কাজগুলো যেহেতু বাইরের দেশের হয়ে থাকে। এবং তাদের অধিকাংশ ভাষাই ইংলিশ হয়ে থাকে। আর তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ইংরেজি ভাষা জানা আবশ্যক।
    আরো বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে আপনি ফ্রিলানসিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে পারেন।

    মোবাইল দিয়ে আসলে কি ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়

    আমাদের মধ্যে অনেকে মনে প্রশ্ন আসে, মোবাইল দিয়ে কি আসলে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় কিনা। আজকাল অনেকেই ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দেয়, মোবাইল দিয়ে লাখ টাকা ইনকাম করুন। আবার অনেকেই ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে। লোভনীয় থাম্বেল দিয়ে দেয় যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করুন।

    মোবাইল দিয়ে ভিডিও দেখে আপনি হয়তো মাসের ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে কখনো কোটিপর্ণা ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না। একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা আসলে কি।

    ফ্রিল্যান্সিং আসলে এমন একটি পেশা যেটা চাকরির মতোই। তবে আর পার্থক্য শুধু এটুকুই যে এটাতে ঘরে বসে  অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। আর এটা একটি স্বাধীন চাকরি। আপনি ইচ্ছা করলে কাজ করবেন। আবার ইচ্ছা না করলে কাজ করবেন না।

    মোবাইল দিয়ে কখনো পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় না। পরিপূর্ণ ভালো ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের প্রয়োজন পড়বে। ২০০ ১০০ টাকা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কিনে পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব না।

    মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ

    বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন যথেষ্ট। এই মোবাইল ফোন দিয়ে অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা সম্ভব। তবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করলে কাজ বেশি পাওয়া যায় ইনকামও বেশি হয়।
    আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে কাজ করতে পারবেন। এরকম কিছু কাজের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
    • আর্টিকেল রাইটিং
    • কনটেন্ট রাইটিং
    • বিপ্লব রাইটিং
    • গ্রাফিক্স ডিজাইন
    • ট্রান্সলেশন
    • ফরম পোস্টিং
    • ডিজিটেল মার্কেটিং
    • ইমেইল মার্কেটিং
    • ওয়েবসাইট মার্কেটিং
    • অনলাইন টিউটরিং
    • ডাটা এন্ট্রি
    • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
    • পেপার ক্লিক বিজ্ঞাপন
    •   

    মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা

    অসুবিধা থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কিছু সুবিধা আছে তা নিচে উল্লেখযোগ্য সুবিধা উল্লেখ করা হলো।

    ইনকামঃ ঘরে বসে কাজ করে ইনকাম করার জন্য বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে আপনার উপার্জন। আপনি যত বেশি বেশি কাজ করবেন আপনার উপার্জন তত বেশি হবে আপনি যত বেশি কাজ করবেন তত দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন কাজের চাহিদা ততই বাড়বে এবং আপনার ইনকামও অনেক বেশি হবে।

    কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধাটা পাওয়া যায় না কারণ আপনি যতই ভালো কাজ করেন না কেন আপনার নির্দিষ্ট একটা বেতন রয়েছে সেটা আপনাকে দেওয়া হবে। আপনি রাত দিন জেগে কাজ করলে মাসে প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। সেটা চাকরিতে কোনোভাবে সম্ভব নয়।

    দলগত কাজঃ

    একসাথে সবাই মিলে কাজ করলে বিশেষ সুবিধা রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেক সময় একসাথে সবাই কাজ করলে যেমন কাজটা দ্রুত হয় তেমনি বিভিন্ন জনের ধারণা বা কৌশল দক্ষতা অনেকটা বেশি হয়।

    কাজঃ

    ফ্রিল্যান্সিং এর আরো একটি বড় সুবিধা হচ্ছে যেটা আপনার ইচ্ছা হবে সে কাজটি আপনি করতে পারবেন যেটা আপনার ইচ্ছা হবে না সেটা আপনি নাও করতে পারেন এবং সেটা সেটা অবশ্য আপনার স্কিল অনুযায়ী। যে বিষয়ে আপনার কাজে দক্ষতা আছে সে কাজটি আপনি বেছে নিয়ে করতে পারেন। কিন্তু চাকরি ক্ষেত্রে এটা হয়। আপনি যে কাজটা পারেন বা না পারেন আপনাকে সব কাজই করতে হবে।

    সময়ঃ

    ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করার অনেক বড় সুবিধা হচ্ছে সময় আপনি সময়কে আপনার নিজের মত কাজে লাগাতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ নিজের স্বাধীনতা ভাবে করতে পারবেন। এই কাজ আপনি কখন করবেন সেটা একমাত্র আপনি সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন আপনি কাজটি সকালে ফজরের নামাজ পড়েও করতে পারেন আপনি দুপুরে ঘুমাতে পারেন বিকেলে উঠে কাজটি করতে পারেন অথবা সন্ধ্যা করতে পারেন এবং সারারাত জেগেও কাজটি করতে পারেন।

    আপনার যখন ইচ্ছা তখন আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজে সময় দিতে পারবেন এবং এ সময়ের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় পার্থক্য চলে আসে চাকরির সাথে। আপনি চাকরি করতে গেলে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় আপনাকে অফিসে যেতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনাকে কাজটি শেষ করতে হবে আরও যদি শেষ করতে না পারেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক বড় কটু কথা শুনতে হতে পারে।

    ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা

    পৃথিবীতে সব জিনিসেরই ভালো দিকও আছে এবং খারাপ দিকও আছে ভালো খারাপ মিলে প্রত্যেকটা জিনিসই আছে। ফ্রিল্যান্সিং এর সামান্য কিছু অসুবিধা বা খারাপ দিক রয়েছে আসুন আমরা সে সম্পর্কে জেনে নিই।

    ভিটামিনের অভাবঃ একটানা যদি আপনি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করতে থাকেন বা আপনি বাহিরে অনেকক্ষণ বের হতে পারেন না আর বাইরে বের না হওয়ার কারণে আপনার সূর্য রশী থেকে বঞ্চিত হন আর সূর্যতে থাকে ভিটামিন ডি। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি একটানা এক দুই সপ্তাহ ধরে বাইরে বের না হন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হতে পারে। ভিটামিন ডি এর অভাবে হারের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দে।

    বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাঃ আপনি আপনার কাজের দক্ষতা অর্জন করতে করতে এমন একটা অবস্থানে চলে যাবেন যখন দেখবেন আপনার অসংখ্য কাজ আপনি একা কাজ করে কোলে উঠতে পারছেন না। কিন্তু কাজগুলো ফেলে দিলেও তো আপনার ইনকাম হবে না। তাই প্রত্যেকটা কাজই যদি আপনি করতে চান অনেকক্ষণ ধরে আপনাকে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার সামনে বসে থাকতে হবে।

    দেখা যায় যে আপনার অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় যেমন প্রথম যে সমস্যাটা হয় সেটা হল স্থলতা অর্থাৎ মোটা হয়ে যাওয়া ভুড়ি হয়ে যাওয়া।

    নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে পারে


    অনেক বছর ধরে আমরা জানি এসছি যে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আমরা অনেক কাজ করে থাকি এবং এ পেশা ভবিষ্যৎ ও আশা-আকাঙ্ক্ষা আরো ভবিষ্যৎ বুঝতে পেরে বর্তমানে সরকার অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সবাইকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে স্মল সিটি উদ্যোগে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ। যেখানে কিভাবে এন্ড্রয়েড মোবাইলের অ্যাপস বানান যায় তা শেখানো হয়।

    এছাড়া অনেক তথ্য ও যোগাযোগের প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও স্বর্ণভর বাংলাদেশে উদ্যোগে লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রশিক্ষণ এখানে আরো অনেক রকমের কাজ শেখানো হয়। যেমন ওয়েব ডিজাইন গ্রাফিক ডিজাইন এসিও সহ আরো বিভিন্ন রকমের কাজ যা করে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে। সেখানেও অনেক বিভিন্ন মেয়াদের সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে বিনামূল্যের ট্রেনিং এবং সরাসরি অনলাইনে কাজ শেখায়।


    এসব কাজ করে কিভাবে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায় সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দিচ্ছে তাই নতুনরা প্রাথমিকভাবে এর মাধ্যমে কাজ শিখতে পারেন।
    কাজ শেখা ও কাজ করা।
    যারা নতুন তাদের মনে অনেকেই প্রশ্ন জাগে যে কিভাবে কাজ শিখব আর কিভাবে কাজ করব তাদের উচিত হবে প্রথমে জেনে নেওয়া যে কি কি কাজ করলে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়, আর কিভাবে নিজের কাজে দক্ষ ও কর্মঠ হওয়া যায়। সেটির একটি সুন্দর উদাহরণ দেই আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপার হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে খুব সহজভাবে কাজ শিখতে পারবেন। আবার অনেকে এভাবে থাকেন যে কিভাবে টাকা হাতে পাব কোন ব্যাংক থেকে টাকা পাব কাজ শিখতে কত মাস লাগবে প্রতি মাসে কত টাকা আয় হবে এবং ইত্যাদি ইত্যা।

    আপনি যদি ভালোভাবে কাজ শিখতে চান তাহলে আস্তে আস্তে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে কাজ পাবেন আর কিভাবে টাকা হাতে পাবেন। তাই আপনার প্রথম কাজ হবে যে কোন একটা বিষয় নিজেকে দক্ষ করে তোলা আর সে দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে কোন প্রান্ত থেকে কাজ করতে পারবেন। তবে সাবধান কারণ বেশিরভাগ মানুষই অল্প কিছুই শিখে মার্কেটপ্লেস এ নেমে পড়ছে কাজের উদ্দেশ্যে তাই অনেক সময় দেখা যায় যে এরা ক্লায়েন্ট এসব কাজ করে দিতে পারে না।

    মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম


    মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম। মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শিখে  ছোট ছোট কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।তবে আপনি যদি একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনে তা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয়। এর কারণ মোবাইল দিয়ে খুব ছোট ছোট বা অল্প কাজে করা যায়। আর এর কারণে ইনকামও কম হয়।

    একটি মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনার যদি একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে থাকে তাহলে, আপনি নিয়মিত কাজ করে খুব ভালো করে মানানো অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে খুব দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে হবে। 
     

    মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি করে খুব সহজেই টাকা ইনকাম। সেগুলো হলো। কন্টেন্ট রাইটিং, আর্টিকেল রাইটিং, ভিডিও এডিটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইন,ট্রান্সলেটরের মত বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট কাজ করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

    মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি প্রয়োজন


    আমাদের মধ্যে অনেকেই মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহী। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই জানেন না, মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি প্রয়োজন।

    মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে প্রথমে আপনার ভালো মানের একটি স্মার্টফোন প্রয়োজন। মোবাইলটি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে। আপনার ফোনের স্পিসিফিকেশন, ভালো হতে হবে। ফোনের ক্যামেরা ভালো হতে হবে। লং টাইম ব্যাটারি। মোটামুটি বড় স্কিম। প্রসেসর এবং মেমোরির পাশাপাশি ইন্টারনেট কানেকশন খুব ভালো হওয়া প্রয়োজন। এবং ফ্রান্সের কাজের প্রয়োজনে অ্যাপস বা সফটওয়্যার ইন্সটল করা উচিত।

    লেখকের শেষ কথা


    আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় ছিল মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখব কিভাবে। আশা করি এ সম্পর্কে আপনারা পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা বর্তমান সময়ের সহজ এবং কার্যকরী উপায়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

    তবে মোবাইলে মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনি কখনই পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না। পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এবং ধৈর্য ধারণ করে কঠোর পরিশ্রম করে  কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি একজন পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url