তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকরী ৫টি স্ক্রাব

তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে আমরা অনেকে চিন্তিত থাকি। এখন প্রায় বেশিরভাগ মানুষের স্কিনে অনেক রকম সমস্যা দেখা যায়। অনেকেই জানেন না আমাদের স্কিন ভালো রাখার জন্য কি কি টিপস অবলম্বন করতে হয়। তাহলে চলুন আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকর পাঁচটি স্কাব নিয়ে আলোচনা করব।
আমরা অনেকে অনেক সময় অজানা কিছু বাজারের  কসমেটিক্স আমাদের ত্বকে ব্যবহার করে থাকি। যার ফলে আমাদের ত্বকে অনেক রকম সমস্যা দেখা যায়। আপনারা যদি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকরী পাঁচটি স্কাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকরী পাঁচটি স্কাব

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকরী পাঁচটি স্কাব

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্ক্রাবিং করা আমাদের খুবই জরুরী। কারণ আমাদের ত্বকে অনেক রকমের ধুলাবালি ময়লা জমে থাকে যার কারণে আমাদের  ত্বকে  ব্রন দেখা দেয়। এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকে স্ক্রাবিং না করলে ত্বকের কালচে ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। এজন্য আমাদের প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একদিন করে প্রাকৃতিক উৎপাদন দিয়ে ত্বকে স্ক্রাবিং করুণ।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যে স্কাব গুলো অত্যন্ত কার্যকর।অনেকে আমরা এ বিষয়ে জানিনা। এজন্য আজকে আপনাদের সাথে কিছু অজানা তৈলাক্ত ত্বকের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেটি নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো। 

গ্রিন টি স্কাবঃ
খাওয়ার পরে কেটে চা পাতা বের করে একটি বাটিতে নিন।এখন এর সঙ্গে ক্লিজার অথবা মধু মিশিয়ে কিছুক্ষণ মাসাজ করুন। এরপর ভালো করে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে এটি তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ থেকে দূর কর।

বেকিং সোডার স্কাব্যঃ
বেকিং সোডার সঙ্গে পানি ও সামান্য চিনি মিশিয়ে হালকাভাবে মুখে মাসাজ করুন। চিনি পুরোপুরি ভাবে গলে গেলে হালকা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি তোল একটা ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব দূর কর।

দারুচিনি স্কাবঃ
দারুচিনি গুড়া সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে পাঁচ বা দশ মিনিট মাসাজ করুন। এবার পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের সংক্রমণ জাতীয় সমস্যা সমাধান করে।

ওট্মীলের স্কাবঃ

ওট্মিল পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এটি নরম হয়ে গেলে পুরা মুখে ভালো করে লাগিয়ে ৭ মিনিট মাসাজ করুন। এবার পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন ওট্মিল দিয়ে মুখে স্কাবিং করুন। এটি ত্বকে অতিরিক্ত তেল দূর করে উজ্জ্বলত্বকে করবে।


মধুর স্কাবঃ

ধুর সঙ্গে অল্প একটু চিনি মিশিয়ে মুখের স্কাবিং করে নিন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের; জন্য সবচেয়ে উপকারী স্কাপ, ত্বককে মরা কোষ দূর করে তোকে নরম ও উজ্জ্বল মসৃণ রাখে।

তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া স্কাব

তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া স্কাব সম্পর্কে আমরা অনেকে জানি না।আপনাদের এ বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পরলে  বুঝতে পারবেন তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া স্কাব সম্পরকে । আমাদের তৈলাক্ত ত্বকের স্কাব করার জন্য বাজারে অনেক নামিদামি বহু স্কাবার রয়েছে। তবে প্রাকৃতিকভাবে স্কাবার অনেক বেশি নিরাপদ।
 
প্রাকৃতিকভাবে আমাদের ত্বকের মৃত কোষ দূর করে তোকে উজ্জ্বল মোলায়েম করতে স্কাবিং এর কোন ও জুড়ি নেই। যদি আপনাদের হাতে একেবারে সময় না থাকে তাহলে অন্তত সপ্তাহে দুই একবার স্কাব করা প্রয়োজন। প্রতিদিনে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার ত্বকের উপর ছিদ্রে ব্যাকটেরিয়া, মৃত কোষ, খা্‌ম, তেল, ময়লা, জমা হতে থাকে। এর ফলে নিয়মিত স্ক্রাবিং করলে এগুলো অনেক সহজে দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তোলে।

স্কাব করার জন্য এখন বেশিরভাগ বাজারে অনেক নামিদামি বহু স্কাবার আছে। তবে এটা বিশ্বস্তভাবে অনেক বেশি নিরাপদ তবে এটার থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না বলেই চলে। তবে এটা গবেষণা করে দেখা গেছে যে প্রাকৃতিক উৎপাদন দিয়ে তৈরি ফেসিয়াল স্কাব গুলি কোন ক্ষতিকারক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের জন্য এটা অনেক ভালো এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জলতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে।

তৈলাক্ত ত্বকের ফেসপ্যাক

আমাদের ত্বকে সারা বছর নানা রকমের সমস্যা লেগেই থাকে। তবে যাদের তেলতেলে তো তাদের ভোগান্তি টা একটা বেশি হয় যার ফলে এই তেলতেলে ত্বকের ব্রণের সমস্যা অনেক বেশি হয়। তাছাড়াও এই ত্বকে চিটচিটে হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। অনেকের ত্বক আছে যাদের ত্বক তেলতেলে বেশি দেখা যায়। বর্ষায় তেলতেলে ত্বকের সমস্যা আরো অনেকটা বেড়ে যায়। যার ফলে আমাদের ত্বকের যত্ন বাড়িতে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

তবে শুধু যত্ন নিলেই হবে না আমাদের ত্বকের জন্য সঠিক কাজটি সম্পর্কে আগে জানতে হবে। কারণ অনেকেই ত্বকের যত্ন কিভাবে করবে সেটা না জানার কারণে অনেকে অনেক রকম বাজার থেকে কম টাকা দিয়ে পণ্য কিনতে থাকে । যার ফলে আমাদের তোকে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।

এজন্য আগে আমাদের ভালো করে সবকিছু সম্পর্কে জেনে নেয়া দরকার। তাহলে চলুন আমাদের তৈলাক্ত ত্বকের ফেসপ্যাক সম্পর্কে কিছু তথ্য আলোচনা করব।

মধু ও পেঁপের ফেসপ্যাকঃ
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এই পেঁপে। একটি পেঁপে পেস্ট করে তাতে মধু মিশিয়ে ভালো করে মুখে লাগাতে হবে। এটা লাগানোর ফলে মুখের তৈলাক্ত ভাব ওসমস্যা দূর হবে।

টমেটো ফেসপ্যাকঃ
ত্বকের যত্নের টমেটো খুবই উপকারী। এটা লাগানোর ফলে তোকে টানটান করে তুলতে সাহায্য করবে। এতে রয়েছে লাইকোপিন  ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ফলে হাজারো সমস্যা সমাধান করে তোলে। টমেটো টাকে  ভালো করে পেস্ট করে কয়েক ফোঁটা মধু যোগ করে মেখে মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন এতে করে অনেকটা উপকার পাবেন।

বেসন ও হলুদঃ
আদিম যুগ থেকে রূপচর্চায় করে আসছে হলুদ এবং বেসন দিয়ে এটা তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে সমাধান করে। এই বেসনের সঙ্গে হলুদ ও টক দই মিশে ত্বকের উপর মাখলে তোকে অনেক সুন্দর করে তোলে।

শসাঃ
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যার সমাধান করে তোলে শসা ও শসার ঠান্ডা প্রাকৃতির ফলে শসা ব্যবহার করলে ত্বক শীতল থাকে। এবং কোন রকম ত্বকের কোন সমস্যা ঝুঁকি থাকে না। 

অ্যালোভেরাঃ
ত্বকের যত্নে আমাদের অ্যালোভেরা জেল খুবই উপকারী যেকোনো ধরনের ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী এয়  এলোভেরা জেল। আমাদের বাড়ি উঠানে লাগানো এলোভেরা গাছে থেকে পাতা তুলে ভিতর থেকে যে থকথকে নির্যাসটা বের করে নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। এটা লাগানোর ফলে অনেকটা উপকার  পাবেন।

ত্বকের জন্য ঘরোয়া ফেসপ্যাক

ত্বক সুস্থ রাখতে বাজারের কিছু কেমিক্যাল যুক্ত প্রসাধনে ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ঘরে বসে রূপচর্চা করুন। এতে আপনার ত্বক অনেক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে। একটু সময় বের করে ঘরে বসেই চট করে এই  ফেসপ্যাকটি বানিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ত্বকের উপকারি ঘরোয়া কয়েকটি ফেসপ্যাক সম্পর্কে আলোচনা করব।

ত্বকের যত্ন আমাদের যা যা করা উচিত এক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস ও এলোভেরা রস মেশান। এই মিশ্রণটি ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এর ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে।

মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বক এর জন্য এই ফেসপ্যাকটি খুবই কার্যকরী।

মসুর ডাল গুড়া করে একসাথে শসা রস মিশিয়ে একটি তৈরি করুন। এই ফেসপ্যাকটিস স্কাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

একটি পাকা কলার সঙ্গে অল্প একটু মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। একি ত্বকের উপর থেকে সুখে গেলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

মুলতানি মাটি চন্দনের গুড়া টক দই  কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে এ ফেসপ্যাকটি তৈরি করুন এ্টি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসপ্যাকটি খুবই ভালো। মধু গুড়া দুধ বাদাম তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এটি ব্যবহার করার ফলে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে।

ত্বকের রংউজ্জ্বল ও ফর্সা করতে হলুদ পাঠাও চন্দনের গুড়া একসঙ্গে মিশিয়ে লাগান। ভিনেগার ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশে পানি দিয়ে ভালো করে পাতলা করে টোনার হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। মধু অলিভ অয়েল চন্দন বাটা অল্প হলুদ মিশিয়ে ত্বকে লাগান এটি নিয়মিত ত্বকে লাগালে ত্বক হয়ে উঠবে অনেক উজ্জ্বল ও সুন্দর।

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার ক্রিম

আমাদের ত্বকের থেকে ব্রণ দূর করার জন্য আমরা নানান রকমের ক্রিম ব্যবহারকরে থাকি। যার ফলে আমাদের  স্কিম নষ্ট হয়ে যায়। সেটা নিয়ে আমরা অনেকে চিন্তিত থাকি অনেকেই জানেন না আমাদের মুখে ব্রণ বের হলে কোন ক্রিমটা ব্যবহার করা সঠিক হবে ।এই বিষয়ে আমি আজকে আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলে সবকিছু শেয়ার করব।

ব্রণ আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয় ছাড়াওত্বক ড্যামেজ হয়ে যায় দেখতে অনেক খারাপ লাগে। এছাড়াও ব্রণ চলে যায় ঠিকই কিন্তু আমাদের ত্বকে ছোট ছোট দাগ ও ক্ষত দেখা যায় এমনকি ত্বকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্ত দেখা যায ব্রণের কারণে। এজন্য বিশ্বব্যাপী কম বেশি সবার কাছে ব্রণ একটি আতঙ্কের নাম।

তাহলে কি আমাদের ব্রন থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই? হ্যাঁ অবশ্যই আছে।

সেজন্য দরকার ত্বকের যত্ন সঠিক ও রূপচর্চা আমাদের স্কিন ভালো রাখতে হলে সাবধান হতে হবে এবং বাজারের, সঠিক প্রোডাক্টটি বেছে নিতে হবে।আর সেজন্যই অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের কাছ থেকে ভালো করে পরামর্শ নিতে হবে। আর নিজের স্কিন ভালো রাখতে হলে সঠিক প্রোডাক্ট বেছে নিতে হবে। তাই চলুন জেনে নিই ব্রণ দূর করার সহজ ও কার্যকরী ক্রিমের নাম।

নোভা ক্লিয়ার এডমি ক্রিম:

অয়েলি, কম্বিনেশন আর একনি পোন স্কিনে ড্রনের প্রবণতা থাকে সবচাইতে বেশি এটি সমস্যা সমাধানে বায়োজেনে আছে নোভা ক্লিয়ার একমি ক্রিম যা ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ডের এবং ডারমাটোলজিস্ট স্বীকত এই ক্রিমের একটিভ উপাদান হিসেবে আছে স্যালিসাইলিক এসিড, স্কিনের,ব্রণ ইম্পিউরিটিস, মেকআপ ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।

স্যালিসাইলিক এসিড ত্বকে এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের ব্রণ কে চিরতরে প্রতিরোধ করে থাকে। প্যানথেনলের অ্যাান্টি-ইনফ্লে মেটারি প্রপার্টিজ ত্বক থেকে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি এবং লালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। স্কুয়ালেন ত্বকের হাইড্রেটর হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়াও এতে থাকা ফুলে নির্যাস ও অন্যান্য হারবাল উৎপাদন স্কিনকে রাখে সতেজ গ্রহণ মুক্ত এবং উজ্জ্বল।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেরা সানস্ক্রিম কি

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আমাদের সানস্ক্রিমের সম্পর্কে জানাটা অনেক জরুরী
আমরা অনেকে সানসক্রিম সম্পর্কে জানিনা। যাদের সানস্ক্রিম সম্পর্কে জানার আগ্রহী আছে তারা চলুন জেনে নিই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেরা সানস্ক্রিম কোনটি ব্যবহার করা উচিত।

ম্যাটঃ ম্যাট সানস্ক্রিম তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেকটা ভালো। এ ধরনের সানস্ক্রিন মুখের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করে এবং তেলতেলে হয়ে যাওয়ার থেকে ভয় থাকে না। পাশাপাশি সিলিকা, নিয়াসিনামাইডের মত ত্বকের উপাদান এজন্য খুবই ভালো।

পানিঃ ওয়াটার  বেসড সানস্ক্রিম ত্বক সহজে শুষে নেয়। একেবারে তেলতেলে ভাব থাকে না অথচ জেলায় রয়ে যায়। এটি ত্বকের প্রয়োজনীয় আদ্রতা জোগাতে ও সক্ষম করে। এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ধরনের সানস্ক্রিম উপযোগী।

তৈলাক্তত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো হবে এ সম্পর্কে আমরা অনেকে জানি না। আমরা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক চিন্তিত থাকি। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম মাখতে হবে এ বিষয়ে অনেকেরই অজানা। আমরা অনেকে জানার চেষ্টা করে থাকি। এ বিষয়ে যদি আপনাদের জানার আগ্রহী থাকে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন। এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি ভাবে পরলে  আপনারা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

এখন বেশিরভাগ বড় বড় মার্কেটে শপিংমলে অনেক ভেজাল পণ্য ডুবলিকেট অনেক ক্রিম পাওয়া যায়। এসব ভেজালমুক্ত ক্রিমগুলো কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা কম টাকায় কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করে থাকে । যার ফলে এই ক্রিম গুলা ত্বকে ব্যবহার করার ফলে ত্বক নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের সাবধান হতে হবে বাজারের কিছু ডুপ্লিকেট পণ্য কিনার থেকে দূরে থাকতে হবে।

আমাদের স্কিনকে সুন্দর সুস্থ রাখার জন্য কিছু নতুন ক্রিমের নাম সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

১। নিউট্রিজিনা অয়েল ফ্রি মশ্চারাইজার

এই ডেইলি মশ্চারাইজার স্ক্রিনের জন্য খুবই ভালো এটি খুব দ্রুত স্ক্রিনে মাখলে স্কিন কে পুরাপুরিভাবে সুন্দর করে তোলে এবং স্কিনে যত সমস্যা থাকে সবকিছু সমাধান করে এই ডেইলি মশ্চারাইজার ক্রিম। স্কিনে কোন ধরনের সেনসিটিভি তৈরি করে না তাই যাদের স্ক্রিনে অনেক এলার্জি আর সেনসিটি টিভির ভয়ে কিছু ইউজ করতে পারেন না তাদের জন্য এই ডেইলি মশ্চারাইজার ব ক্রিম টি ত্বকের জন্য পারফেক্ট।

শীতে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

শীতে তৈলাক ত্বকের যত্নের কিছু টিপস নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এখন বেশিরভাগ মানুষেরই শীতে আসলে নানা রকম ত্বকের উপর সমস্যা দেখা যায়। যার কারণে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আলাদাভাবে ত্বকের যত্ন নেয়া দরকার। তবে এই ধারণা সঠিক নয় শীতকালের শীতল ও শুষ্ক বাতাসে ত্বক ডিহাইডেট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে একটু যত্ন নিলেই এড়ানো যেতে পারে এই সমস্যা।

প্রতিটি মানুষের ত্বকের ধরন আলাদা আলাদা হয়। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এক একজনের ত্বকের একেক ভাবে যত্ন প্রয়োজন হয়। ত্বকের যত্ন অনুযায়ী যদি আপনারা ত্বকের যত্ন করেন তাহলে ত্বককে ভালোভাবে রাখা যা।

শীতকালে সবার ত্বকের শুষ্ক ও খসখসে হয় এ বিষয়ে আমাদের সবারই ধারণা থাকতে পারে। বাস্তবে সেটা হয় না তৈলাক্ত ত্বক শীতকালে ও তেলতেলে থাকতে পারে। এর মানে এটা নয় যে এধরনের ত্বকের জন্য আলাদা করে যত্ন নিতে হবে না। শীতকালের তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন অনেক বেশি করতে হয়। এই বিষয়ে কয়েকটি স্টেপ মাথায় রাখলে পাওয়া যাবে এটা সমাধান।

১।ক্লিনজারঃ ত্বকের পরিচর্যার জন্য ক্লিনজিং প্রথম গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ।ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার না রাখলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়া তাই বেছে নিতে হবে কোমল ক্লিনজার যেন ত্বকের  প্রাকৃতিক তেল অক্ষুন্ন থাকে।

২।টোনারঃ টোনার ত্বকের আলাদা রক্ষার পাশাপাশি পি এইচ এর মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ক্লিনজিং এরপর ত্বকে মেকআপ বা ধুলা ময়লা থেকে গেলে  টোনার তা  ভেতর থেকে বের করতে সহায়তা করে। টোনার  পরিবর্তন উপাদান তত্ত্বের শোষণে করতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য  গ্লাইকোলিক এসিড শ্যালোসিলিক এসিড সালিশিলিক এসিড সমুদ্র টোনার ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩।সিরামঃ ত্বকের যত্ন ছিরাম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্রণ বয়সের ছাপ কালচে দাগ শুষ্ক ত্বক সমস্যায় ছিরাম খুব ভালো কাজ করে। আমাদের ত্বকের যত্নের পাশাপাশি ছিরাম ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষগ্রা।

৪।ময়েশ্চারাইজারঃ অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শীতে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন নেই। তবে এটা ভুল ধারণা ময়েশ্চারাইজার ত্বকেকে হাইডেড করার পাশাপাশি আদ্রতা বজায় রাখে। ত্বকের ধরনের উপর ভিত্তি করে ময়েশ্চারাইজার বাছাই  করে নিতে হবে।

৫।সানস্ক্রিনঃ শীতকালে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল সানস্ক্রিম। এটি দিনের বেলায় অথবা বাহিরে বের হওয়ার আগে এই সানস্ক্রিন টা অবশ্য ব্যবহার করতে হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের উপকারিতা

তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে ভাবছেন? এখন বেশিরভাগ মানুষের কাছে তৈলাক্ত ত্বক মানেই অস্বস্তিকর এর জন্য অনেকেই চিন্তিত হয়ে থাকে। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বক সব সময় খারাপও না এবং এই নিয়ে এর অস্থিরতার কোন কিছুই নেই। কারণ আপনি তৈলাক ত্বক থেকে পাচ্ছেন পাঁচটি সুবিধা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক তৈলাক্ত ত্বক থেকে আপনি কি কি সুবিধা পাচ্ছেন।

১।চেহারার উপর বয়সে ছাপ দেরিতে পড়েঃ এক গবেষণায় দেখা গেছে যে শুষ্ক ত্বকের তুলনায় চেহারার বয়সের ছাপ দেরিতে পড়ে। আর অন্যদিকে শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব তাড়াতাড়ি ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়ে যায়।

২।প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল ত্বকঃ তৈলাক্ত ত্বককে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে মসৃণ করে তোলে , যা প্রাকৃতিকভাবে চেহারাকে অনেক বেশি সুন্দরও সতেজ উজ্জ্বল করে তোলে। অনেকে আছে যারা ত্বক্কে উজ্জ্বল ও চকচকে করতে অনে্কে দামি প্রসাধনী কসমেটিক্স ব্যবহার করে থাকে। তৈলাক্ত ত্বক হলে এটার কোন প্রয়োজন পড়ে না।

৩।ত্বকে স্বাভাবিকতা বজায় থাকেঃ তৈলাক্ত তার কারণে ত্বকে স্বাভাবিক ও কোমল দেখা যায়, যার কারণে আপনাকে ব্যয়বহুল কোন ডে ক্রিম বা নাইট ক্রিম ব্যবহার করা প্রয়োজন পড়ে না।  এ ধরনের ত্বক আপনার চেহারাকে সব সময় স্বাভাবিকভাবে সুস্থ সতেজ রাখে।

৪।ঋতু উপযোগীঃ তৈলাক্ত ত্বক সকল ঋতুতে আপনার জন্য বিশেষ উপকারী। এটা স্বাভাবিকভাবে আপনার ত্বককে যত্নে কাজ করে যাবে। যেকোন ঋতুতে আপনার ত্বককে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে ও আপনাকে দিবে কমনীয়তা।

৫।স্বল্প যত্নঃ তৈলাক্ত ত্বকের কারণে এ ধরনের কোন যত্নের প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র ফেস ভাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু করতে হবে আর বাইরে বেরোনোর জন্য সাধারণ ফেস পাউডার ব্যবহার করলেই চলে।

এখন থেকে তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে আর কোন দুশ্চিন্তা করবেন না যাদের তৈলাক্ত ত্বক আছে তারা আত্ম বিশ্বাস অর্জন করবেন আর নিজের মতো করে সাজুন যে কোন অনুষ্ঠান বা বিয়ে বারিতে আর ত্বক ভালো রাখতে ভালো রাখতে নিয়মিত পানি পান করুন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করছি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকারী পাঁচটি স্কাব নিয়ে । আপনাদেরকে বোঝানোর জন্য আমরা এই বিষয়টি সুন্দরভাবে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি। আশা করি আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন তারপরে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টস করে জানাবেন । এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি বিভিন্ন বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ সব আইডি কে ।










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url